ডাকপিয়ন বিহীন চিঠি: হাসেম সিকদার জিসান

হাসেম সিকদার জিসান •

চিঠি যোগাযোগের মাধ্যম, চিঠি মনের অসংখ্য অনুভূতি-অভিব্যক্তির সারসংক্ষেপ। তবে ২০১৬-১৭ সালের যোগাযোগের অনন্য সকল প্রযুক্তির মাঝেও আমাদের কাছে চিঠি ছিলো যোগাযোগ, ভাব প্রকাশ, কিংবা খবর পৌঁছানোর কষ্টসাধ্য এক কৌশল। খুব শখের বশে চিঠি লিখা হতো বিষয়টি এমন না। বয়ঃসন্ধিকালের সেই সময়ে ডিজিটাল মাধ্যমের নাগাল না পাওয়াতেই ভিন্ন এই কৌশল।

এই চিঠির ছিলো না কোন পোস্ট অফিস, ছিলো না কোন দাপ্তরিক ডাকপিয়ন কিংবা ডাকটিকিট। সবচেয়ে কাছের বন্ধুটিই থাকতো ডাকপিয়নের ভূমিকায়। যাদের হাতের লিখায় খুব বেশি শ্রী ছিলো না, তাদের আবার ধরনা দিতে হতো সুন্দর হাতের লেখার সেই বন্ধুর নিকট।

স্কুলে স্যারদের পাশাপাশি অন্যান্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এই চিঠি পৌঁছাতে হবে প্রিয় মানুষের কাছে। কারণ বিষয়টি গোপনীয়তার। জানাজানি হয়ে গেলে যে ভাটা পড়বে যোগাযোগে, বিচ্ছেদ ঘটবে অনুভূতি আদান-প্রদানে। চিঠি ঠিক মতো পৌঁছালো কি না? সে কবে প্রতিউত্তর দিচ্ছে? এ নিয়ে তো মহা চিন্তা! যদি ফিরতি বার্তায় বিলম্ব হয় তাহলে চিন্তার সাগরে ভেসে যায় অপেক্ষমান কৌতুহলী মন।

বর্তমান সময় সর্বদা প্রযুক্তিদ্বারা বেষ্টিত টিনএজাদের কাছে হয়তো বিষয়টি নিছক হাস্যরস অথবা কাল্পনিক কাহিনি মনে হতে পারে। কারণ তারা এক ন্যানো সেকেন্ডেই বার্তা পৌঁছাতে পারে প্রিয়জনের নিকট। তবে তখনকার বিষয়টি ছিলো প্রবল আবেগ, অনুভূতি, উৎকন্ঠার!

সেই সময়কার বিশেষ এই কৌশল এখন চালু আছে কিনা ঠিক জানা নেই!

  • ✒️ হাসেম সিকদার জিসান
  • ⏰ পহেলা সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং
  • *চিঠি_দিবস*